জগলুল হুদা,চট্টগ্রাম):: রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন জাতের শীতের সবজির উৎপাদন শুরু হলেও এখনও
সাধারণের নাগালের বাইরে সবজির দাম। রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন
বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে প্রচুর পরিমাণ ফুলকপি,
বাঁধাকপি, শিম, মূলা, বেগুন, বিভিন্ন প্রকার শাক সহ নানা
প্রজাতির সবজির বিপুল যোগান রয়েছে। কিন্তু এসব সবজির
দাম চড়া। মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০
টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া প্রতি কেজি শিম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা
কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে কেজি প্রতি বেগুন ৫০
থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিংগা ৩৫ থেকে ৪০
টাকা, চিচিংগা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ৩০
টাকা, কচুরমুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উচ্ছে ৭০ থেকে ৮০
টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে এবং লাউ প্রতি
পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও চাল কুমড়া প্রতি পিস ৩০ থেকে ৩৫
টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে লাল শাকেরও দাম।
বর্তমানে লাল শাক ও মুলা শাকের আটি ২৫ টাকা দরে বিক্রি
করতে দেখা গেছে শান্তির হাট বাজারে। পুঁই শাক প্রতি আটি
১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিগত সপ্তাহের তুলনায়
দাম কমেছে পেয়াজ ও আলুর। ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে
পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহেও ছিল ৭০ টাকা। এছাড়া
নতুন পেঁয়াজের মৌসুম সামনে রেখে সম্প্রতি দেশি পেঁয়াজের
সরবরাহও বেড়েছে। এতেও দাম কিছুটা কমছে বল জানান
ব্যবসায়ীরা। বাজারগুলোতে আলু বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৬
টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে এসব আলু কমপক্ষে ২৪ টাকায়
কিনতে হয়েছে।
শীতে নতুন সবজি দেখে খুশি হলেও দাম নিয়ে অসন্তোষ দেখা
গেছে ক্রেতাদের। দুপুরে চন্দ্রঘোনা বাজারে ফুলকপি
কিনছিলেন রাসেল নামের একজন। তিনি বলেন, “সবজির মধ্যে
শীতের সবজি খেতে ভালো। বাজারে আগাম এসেছে, কিনছি।
তবে দাম অনেক বেশি।”
গোচরা বাজারে কাঁচামাল আড়ৎ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান
সিটিজিসান.কমকে বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ধরে বেশ কিছু
শীতের সবজি বাজারে আসছে। কিন্তু বাজারে নতুন আসায় দাম
একটু বেশি।” তবে বিভিন্ন এলাকার সবজি আসা শুরু করলে দাম
কমে আসবে বলে মনে করছেন তিনি। এদিকে বেড়েছে কাঁচা
মরিচের দাম। যেখানে বিগত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি
দরে মরিচ পাওয়া গেলেও বর্তমানে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা
পর্যন্ত বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। মরিচের দাম
বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় রোয়াজারহাটের এক ব্যবসায়ী বলেন,
“বর্তমানে বাজারে যেসব কাঁচা মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তার
অধিকাংশই ভারত থেকে আমদানি করা। দেশি কাঁচা মরিচের
সরবরাহ অনেক কম। পূজার কারণে ভারত থেকে পণ্য আসতে
একটু বেশি সময় লাগছে বলে দাম বেড়েছে।” তবে আগামী
সপ্তাহ নাগাদ আবার দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন
তিনি।